আগামীকালের সরকারের সঙ্গে সংলাপ সফল না হলে এবং দাবি না মানলে পরদিন রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর পরদিন রাজশাহীতে জনসভা হবে। একে একে খুলনা ও বরিশাল অভিমুখেও রোডমার্চ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সংলাপে দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন কমিশন ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করবে ঐক্যফ্রন্ট।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘আপনাকে চলে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখান থেকে কিছু দূরে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন। তিনি যেটা আশা করেছিলেন, আজকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ একমঞ্চে উঠেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা বলেছিলেন গ্রেফতার-হয়রানি করা হবে না। কিন্তু আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ হাজার ৩৭১টি মামলা হয়েছে। আজকেও আমাদের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো আমরা তা মেনে নেব না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়া জেলে যাবার সময় বলেছিলেন, কারাগার আমি ভয় পাই না। দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের নির্দেশনা তিনি (খালেদা) দিয়ে গেছেন। আজ আমরা জাতীয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ প্রক্রিয়াতেই দুঃশাসন থেকে মুক্তি, জনগণের শাসন নিশ্চিত করা হবে।’
আগামীকাল আবার ছোট সংলাপ হবে। আমরা সংলাপে বিশ্বাস করি। কিন্তু নাটক করলে চলবে না।