বগুড়ার ধুনটে থানার ওসিকে ফোন দিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাল এক স্কুলছাত্রী। গত রবিবার রাতে বিয়ের ওই আসর থেকে বরসহ ওই পক্ষের লোকজন পালিয়ে গেলেও স্কুলছাত্রীর বাবাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাছাড়া সিলেটের বিশ্বনাথে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে একটি বাল্যবিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
ধুনটের পাঁচথুপি গ্রামের বাসিন্দা ও পাঁচথুপি-নসরত্পুর জাহের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে একই এলাকার চালাপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে নাজমুল হোসেনের (২০) বিয়ে ঠিক হয়। গত রবিবার রাতে মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্কুলছাত্রী গোপনে ফোন করে বিষয়টি ওসিকে জানায়।
ওসি মেয়ের বাবাকে এ বিয়ে বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু রাত ৩টার দিকে মেয়ের বাবা পাশের দিঘলকান্দি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে গোপনে বিয়ের প্রস্তুতি নেন। এ সময় স্কুলছাত্রী আবারও বিষয়টি ওসিকে জানালে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ গিয়ে সেখানে হাজির হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ ওই বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এ সময় স্কুলছাত্রীর বাবা, ভাই ও ভাবীকে আটক করে পুলিশ।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, না বুঝে মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন শিক্ষাজীবন শেষ করার পর প্রাপ্তবয়স্ক হলেই মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করবেন।
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছি। একই সঙ্গে বিয়ে বাড়ি থেকে মেয়ের বাবাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।