জন্মভূমিতে তরিকুলের দেহ, প্রিয় নেতাকে দেখতে মানুষের ঢল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের মরদেহ জন্মভূমি যশোরের নিজ বাড়িতে পৌঁছেছে। সেখানে আগে থেকেই নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক জনতা উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ আসার পর তারা প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন। সবার চোখে-মুখে বিষাদের ছায়া ফেলে। এ সময় স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

ঢাকা থেকে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে শহরের ঘোপে তার লাশবাহী কফিন আনা হয়।

বাড়ি থেকে বিকেলে শহরের লালদিঘী পাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হবে তরিকুল ইসলামের মরদেহ। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বাদ আসর যশোর ঈদগা মাঠে মরহুমের তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে তার দু’দফা জানাযা হয়েছে। এরপর শহরের কারবালা কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে শায়িত হবে বর্ষীয়ান রাজনীতিক তরিকুল ইসলাম।

যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু জানান, বৃহত্তর খুলনা বিভাগে বিএনপির অভিভাবক ছিলেন তরিকুল ইসলাম। তার মুত্যুতে জেলা বিএনপি তিন দিনের শোক পালন করছে। সোমবার সবাই কালো ব্যাচ ধারণ করেছে। আগামী দু’দিন দোয়া মাহফিল ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

তরিকুল ইসলাম যশোর সদর থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। যশোর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিলেন তরিকুল ইসলাম।

রবিবার বিকেলে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।