Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বালিয়াডাঙ্গীতে ভুল প্রশ্নপত্রে জেএসসি পরীক্ষা

বালিয়াডাঙ্গী(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:২২ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:২২ PM

bdmorning Image Preview


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে নিয়মিত সিলেবাসের পরীক্ষার্থীরা অনিয়মত সিলেবাসের ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে একটি কেন্দ্রের ৫১ জন পরীক্ষার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দুরে লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১১৬নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সারা দেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতেও আজ দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে নতুন সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সচিব ও  লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান এবং সংশ্লিষ্টরা বলছেন আমরা ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর এমন খাতা পেয়েছি। এ ঘটনার পর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন পরীক্ষার্থীরা এবং তাদের অভিভাবগণ।

উপজেলার চারটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ বছর ২১টি কক্ষে ১২শ ৫৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। এর মধ্যে ১১৬নং কক্ষের নিয়মিত সিলেবাসের পরীক্ষার্থী ৫১ জন। যার মধ্যে ৪৮ জন পুরাতন তথা ২০১৭ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছেন।

ভুলপ্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়া দোগাছি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী রিতা রানী, সততা রানী ও পিংকি রানীসহ অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা জানায়, পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর ওই কক্ষে থাকা ২ জন কক্ষ পরিদর্শককে অবগত করি। কিন্তু তারা ধমক দিয়ে আমাদের ওই প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য করে। নতুন সিলেবাস পড়ে এসে পরীক্ষার হলে পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা কারোই ভালো হয়নি বলে জানায় পরীক্ষার্থীরা।  

বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১১৬নং কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন চৌরংগী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিরউদ্দীন ও রত্নাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহেনা খানম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।

পরীক্ষার্থীর অভিভাবক রশিদুল ইসলাম বলেন, আমি আমার স্বপ্ন ভঙ্গের দারপ্রান্তে। আমার মেয়ে কান্নায় ভেংগে পড়েছে।খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। সে চুড়ান্তভাবে ভেংগে পড়েছে। কার ভুলের জন্য আমার এ শাস্তি। কে এর জবাব দিবে?

দোগাছি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম জানান, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের মন মানসিকতা ভেঙ্গে পরেছে।আমি তাদের মানসিকতা দেখে চিন্তিত। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

পরীক্ষা কেন্দ্রের তদারকীর দায়িত্বে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সুমন আহম্মেদ জানান, আমার কিংবা প্রধান শিক্ষকের প্রতিটি কক্ষের প্রশ্নপত্র এক এক চেক করা সম্ভব নয়। কক্ষ পরিদর্শনের সময়ও কোন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেনি।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর  রহমান মাসুদ এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং দিনাজপুর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলেছি। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ৩ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ যে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চারটি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬শ ৪৫ জন পরীক্ষার্থী এ বছর জেএসসি সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫০৯ জন, লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২৫৯ জন, বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৩৮ জন, সমিরউদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ৯৩৯ (মাদরাসা ও ভোকেশনাল) জন পরীক্ষার্থী।

Bootstrap Image Preview