আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ এখন চট্টগ্রামের মাদারবাড়িস্থ নানার বাড়িতে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে বেলা ১২ টার দিকে তার মরদেহ নানার বাড়িতে পৌঁছায়।
এর আগে আজ শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে সকাল শাহ আমানত বিমানবন্দরে আনা হয় তাকে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহের সঙ্গে ঢাকা থেকে গেছেন তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আর স্বজনেরা।
এবিষয়ে এলআরবির ব্যবস্থাপক শামীম জানান, বিমানবন্দর থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব মাদারবাড়িতে। সেখানে নানার বাড়িতে বড় হয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বাদ আসর এখানে জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে তাঁর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই মসজিদের মাঠে রাখা হবে প্রয়াত এই শিল্পীর মরদেহ। এখানে তাঁর প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন। সন্ধ্যায় তাঁকে চৈতন্য গলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এদিকে স্থানীয় প্রিয় সংগীত শিল্পীকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে তার নানা বাড়িতে ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হয়েছে ভক্তরা।
তাসিফ বিন মামুন নামে এক ভক্ত বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও ঢাকায় বাচ্চু ভাইয়ের কনসার্টে ছুটে গিয়েছি। বাচ্চু ভাইয়ের গানের টানে ছুটে গেছি। স্টেজে বাচ্চু ভাই মানে ফাটাফাটি মন জুড়ানো প্রোগ্রাম। কিন্তু আজ এসেছি বাচ্চু ভাইকে শেষ বিদায় দিতে। আর যে পাবো না বাচ্চু ভাইকে কোনও প্রোগ্রামে। তাই কত কষ্টের এই বিদায় বোঝানো যাবে না।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেছেন গুণী এই শিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে রংপুরে একটি কনসার্ট শেষ করে ১৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকায় ফেরেন আইয়ুব বাচ্চু। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।