খুলনায় উন্মেষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার শিমু (৮) হত্যা মামলার রহস্যের উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. হাবিবুর রহমান (২০) এবং শারমিন (২৮) নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ অক্টোবর) মহেশ্বরপাশা থেকে আসামিদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে হত্যাকাণ্ডের তথ্য দিয়েছেন।
জানা যায়, আটকের পর হাবিবুর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মহানগর হাকিম মো. আতিকুস সামাদ এ জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। শিমু খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল ৭নং ওয়ার্ডের জব্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ট্রাক ড্রাইভার হালিম হাওলাদারের মেয়ে।
আটকের পর পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, যোগীপোল ৭নং ওয়ার্ডের জব্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ট্রাক ড্রাইভার হালিম হাওলাদারের শিশুকন্যা সাদিয়া আক্তার শিমু (৮) কে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের পর শিমুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় এবং ঘটনা জানাজানির ভয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে হাবিবুর ও তার বোন শারমিন। ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে শিশু শিমুকে পানিতে ফেলে দুর্ঘটনার নাটক সাজানো হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাদ্দামের শ্যালক মো. হাবিবুর রহমান (২০)কে কোটালীপাড়া থেকে এবং তার বোন সাদ্দামের স্ত্রী শারমিন (২৮)কে শনিবার মহেশ্বরপাশা থেকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত সানজিদা আক্তার শিমুর নানা তোতা মিয়া বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (নং ১০)।