রাজধানীর রূপনগর থানা হেফাজতে কাউসার (২০) নামের ধর্ষণ মামলার এক আসামি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তিনি রূপনগর এলাকায় থাকতেন।
আজ শুক্রবার ভোরে থানাহাজতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতেই এক তৈরি পোশাককর্মীর দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আর মামলার বাদী পোশাককর্মীকে আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। দুজন একে অপরের পরিচিত। পোশাককর্মী বিবাহিত।
রুপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. শাহ আলম জানান, গতরাতে কাউসার (১৯) নামের ওই এলাকারই এক যুবক ওই বিবাহিত গার্মেন্টসকর্মীর বাসায় যায়। সেখানে তাকে কোমল পানীর সঙ্গে নেশা জাতীয় কোনো ঔষধ মিশিয়ে পান করিয়ে অচেতন করে। পরে তাকে ধর্ষণ করে।
শাহ আলম জানান জানান, ঘটনাটি বুঝতে পেরে আশপাশের লোকজন কাউসারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। রাতেই কাউসারকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে রাত সোয়া ১টার দিকে ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টসকর্মী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাউসারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওসি আরও জানান, আটকের পর কাউসারকে থানার হাজতখানায় আটকে রাখা হয়। পরে ভোরের দিকে সে হাজতের ভেতরে রডের সঙ্গে শার্ট পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে থাকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সকাল সোয়া ৯টায় মৃত ঘোষণা করেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য কাউসারের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টসকর্মীকে ঢামেকের ওসিসিতে ভর্তি করানো হয়েছে।