গাজীপুরের শ্রীপুরে ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থী (১০) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জহিরুল পৌর এলাকার গিলারচালা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বলে জানা যায়।
শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজ মল্লিক জানান, ভুক্তভোগী ঐ শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে জহিরুল ইসলামদের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিল শিশুটির পরিবার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই অপকর্ম করে সে। গত সাত মাস ধরে বিভিন্ন সময় শিশুটিকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে জহিরুল।
এদিকে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে দুদিন আগে বিষয়টি পরিবারকে জানায় শিশুটি। পরে তাকে হাসপাতেলে নিয়ে গেলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি সামনে আসে।
শিশুটির মা বলেন, শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মেয়ের পেট ফাঁপার বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জহিরুলের পরিবার আমাদের বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়।
শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে রোববার রাতেই মামলা করেছেন। ধর্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিশুর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, শিশুটির পেট ফাঁপার কথা তার মা জানালে পরীক্ষা করে দেখা যায় শিশুটি সাত মাসের গর্ভবতী।