Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঠাকুরগাঁওয়ে  চিনির বিকল্প স্টিভিয়া

জে.ইতি, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:১৩ AM
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:১৩ AM

bdmorning Image Preview


আখের চিনি, বিটের চিনি ও অন্যান্য মিষ্টান্ন ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ নিষেদ্ধ থাকায় চিনির বিকল্প হিসেবে ক্যালরিবিহীন চিনির চেয়ে অধিক মিষ্টি স্টেভিয়া চাষ হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে। ১১টি ঔষধি গুনাগুন এবং ডায়াবেটিক রোগীদের চা তৈরির স্টিভিয়া প্রজাতির প্রাকৃতিক মিষ্টি সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদের চাষ হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের সুগার ক্রপস গবেষণা কেন্দ্রে।

এ উদ্ভিদ মানবদেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জানা গেছে, এ গাছটির আদি উৎপত্তি স্থল প্যারাগুয়ে। ওই দেশে ১৯৬৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে স্টিভিয়ার চাষ শুরু হয়। বর্তমানে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, কোরিয়া, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে দুর্লভ এ প্রজাতির স্টিভিয়ার ফসল হিসেবে চাষ হচ্ছে। 

২০০১সালে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট মানবদেহের উপকারি এই উদ্ভিতটি থাইল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করে। দীর্ঘ গবেষণার পর পাবনার ঈশ্বরদী ও ঠাকুরগাঁওয়ে স্টিভিয়া বা মিষ্টি  পাতা প্রজাতির উদ্ভিদের চাষ শুরু হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সুগার ক্রপস গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.শরিফুল ইসলাম জানান, স্টিভিয়া প্রজাতির এ উদ্ভিদের পাতা চিনি অপেক্ষায় ৩০-৪০গুণ মিষ্টি।

ক্যালরিমুক্ত এ মিষ্টি ডায়াবেটিক রোগী সেবন করলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরিবর্তন হয় না। এছাড়া রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণসহ দাঁতের ক্ষয় রোগ ও ত্বকের কমলতা এবং লাবণ্য বৃদ্ধি করে উদ্ভিদের এ উপাদান।

তিনি আরও জানান,বছরের ৯মাস টবে অথবা মাটিতে এর চাষ করা সম্ভব। স্টিভিয়অর কম্পোজিটি পরিবারের অর্ন্তভুক্ত একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। পৃথিবীর অনেক দেশে এর পাতা বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে অনেকেই। জাপান বছরে ৫ মেট্রিক স্টিভিও সাইডস ব্যবহার করে। যার বাজার মূল্য ২২০মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার।

জাপান,চীন ও কোরিয়াতে স্টিভিয়া প্রজাতির বিভিন্ন খাবার ও  ঔষুধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে এটি।

এর গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণার পর ঠাকুরগাঁও এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে চাষ শুরু করেছে।

Bootstrap Image Preview