Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফরিদপুরে গ্রেফতার ধর্ষণ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৭ AM
আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৭ AM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি ইয়াসিন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

রবিবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ইয়াসিন শহরের ওয়ারলেস পাড়ার মনি শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামির ছবি সংগ্রহ করে আসামি ইয়াছিনকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর গত রাতেই এলাকার লোকদের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতিবন্ধী শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে।

 এরপরে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও পোশাক লঞ্চঘাট এলাকায় মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশকে জানায় ইয়াছিন। পুলিশ ইয়াছিনকে নিয়ে সেই আলামত উদ্ধারে গেলে, ইয়াসিন পুলিশ সদস্যের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

 পরে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ইয়াসিন। এসময় আহত হয় তিন পুলিশ সদস্য। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৪ বছরের শহরের বহুল আলোচিত প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে বিকেল বেলা রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াছিন নামে ওই ধর্ষক। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে তার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফাতেমার বাবার নাম এলাহি শরিফ। তিনি রিক্সা চালানোর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথের গার্ড হিসেবে কাজ করেন। তিন মেয়ের মধ্যে ফাতেমা বড়। ফাতেমা জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক)। ওই কিশোরী বাবার সাথে শহরের রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো।

Bootstrap Image Preview