Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘দাম ২০০ হবে’ গুজবে লবণ কেনার হিড়িক, মুহূর্তেই গোডাউনশূন্য

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:১২ PM
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:১২ PM

bdmorning Image Preview


গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ‘২০০ টাকা হবে লবণের কেজি’ এমন গুজাবে  লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে।

উপজেলার ঘাঘর বাজারে বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক পাইকারি ও খুচরা দোকানে লাইন দিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের লবণ কিনতে দেখা গেছে। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ে নামতে হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সোমবার দিনগত রাত থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লবণের কেজি ২০০ টাকা হবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

এ কারণে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঘাঘর বাজারে লবণের ডিলার, পাইকারি বিক্রেতা ও খচরা বিক্রেতাদের দোকানে লবণ কেনার জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। দুপুর ১২টার মধ্যে ডিলার ও অনেক পাইকারি ব্যবসায়ীর গোডাউন লবণশূন্য হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাঠে নামে।

হঠাৎ করে এভাবে লবণ কেনার কারণে অনেক ডিলার বা পাইকারি ব্যবসায়ীরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

মধুমতি সল্টের কোটালীপাড়ার ডিলার জালাল শেখ বলেন, একটি গুজবের ওপরে ভর করে জনগণ হঠাৎ করে এভাবে লবণ কেনা শুরু করেছেন। আমরা পূর্বের দামেই লবণ বিক্রি করছি। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।

পাইকারি ব্যবসায়ী গনেশ সাহা বলেন, সকাল থেকেই আমাদের দোকানে লবণ কেনার জন্য সাধারণ জনগণ ও খুচরা বিক্রেতারা ভিড় করেন। দুপুর ১২টার মধ্যে আমাদের দোকানের সব লবণ বিক্রি হয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার নাগরা গ্রামের এক ভ্যানচালক বলেন, গতকাল রাতে ঢাকা থেকে আমার এক আত্মীয় ফোন করে জানিয়েছেন লবণের কেজি ২০০ টাকা হবে। তাই মঙ্গলবার সকালে এসেই ঘাঘর বাজার থেকে ১০ কেজি লবণ কিনেছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহসিন উদ্দিন বলেন, লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজবের কারণে ঘাঘর বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই লবণ কেনার হিড়িক পড়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজারে ছুটে আসি। প্রত্যেক ডিলারকে বলে দিয়েছি পূর্বে তারা ব্যবসায়ীদের কাছে যে পরিমাণ লবণ বিক্রি করতো এখন সেই পরিমাণ বিক্রি করতে হবে। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদেরকে ১কেজি থেকে ২ কেজির ওপরে লবণ বিক্রি করতে নিষেধ করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে লবণের কোনো সংকট নেই। তাই দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনাও নেই। যদি কোনো ডিলার বা ব্যবসায়ী বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করে তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview