Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেললেন চিকিৎসক!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫৯ PM
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সুস্থ বাচ্চাকে মৃত গর্ভপাত ও প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগে যশোর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রকাশ কুমার মজুমদারের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।  

মণিরামপুর উপজেলার মাছনা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে আইয়ুব হোসেন যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। 

ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহারে আইয়ুব হোসেন উল্লেখ করেছেন, তার বোন শরীফা বেগম যশোরের একটি হাসপাতাল থেকে আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে জানতে পারেন তার গর্ভের সন্তান সুস্থ আছে। পরে ১৫ আগস্ট শরীফা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওইদিন বিকেলে তাকে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আধুনিক নামে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর যশোর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রকাশ কুমার মজুমদার শরীফার চিকিৎসার ব্যাপারে অবহেলা করেন। ধীরে ধীরে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ১৭ আগস্ট মৃত অবস্থায় শরীফার বাচ্চাটির গর্ভপাত করা হয়।

এরপর রাতে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ডিএন্ডসি করা হয়। এসময় গর্ভস্থফুল বের না করে জরায়ু কাটা হয় শরীফার। এতে শরীফার তলপেটে রক্ত জমাট বেঁধে থাকে। পরে ডা. প্রকাশ কৌশলে তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন।

এমতাবস্থায় শরীফার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ফের অন্য একজন ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করে ওই রক্ত জমাট পরিস্কার করা হয়।

ওই সময় দেখা যায় শরীফার জরায়ু কাটা রয়েছে। এছাড়া এসব অপচিকিৎসার কারণে শরীফার কিউনি সাময়িক অকেজো হয়ে পড়ে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। যা পরে ডায়ালাইসসিসের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়। বর্তমানে তার বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

Bootstrap Image Preview