বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এএসএম নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
মঙ্গলবার ভোরে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাটলাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হিলি সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের-ডিএমপির জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সাদাত বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের এই কর্মী।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গত ৬ অক্টোবর (রবিবার) মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একাধিক শিক্ষার্থী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে হামলাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে আবরার দুবার বমি করেন। সঙ্গে প্রস্রাবও করেন।
নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ। তবে এজাহারের বাইরে বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১২ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে বুয়েটসহ সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও কর্মসূচি পালন করছে।