নবমীর রাতে মন্দিরে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার পর দশমীর প্রায় তিনদিন বাদে দুর্গা প্রতিমা ভেঙেছে দুর্বৃত্তরা। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবড়বাড়ীয়া শ্রীশ্রী হরিগুরুচাঁদ সেবাশ্রমে শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আফজাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিন ওই মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে মাটিতে পড়ে আছে দুর্গা, লক্ষ্মীসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি।
মন্দির কমিটির সভাপতি নৃপেন বৈদ্য বলেন, ‘নবমী পূজার রাতে মন্দিরে ধর্মীয় কীর্তন ও চণ্ডীপাঠ অনুষ্ঠান চলছিল। কিছু অপরিচিত লোক এসে মা-বোনদের পাশে দাঁড়ায় এবং একজনকে উত্ত্যক্ত করে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে ওই লোকগুলো আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে আমাকে কিল-ঘুষি মারে। তখন মন্দিরের ঢাকি অজিত মণ্ডল ছুটে এসে তাদের ঠেকায়।’
‘মন্দিরে দায়িত্বরত আনসার ভিডিপি বাহিনীসহ উপস্থিত জনতা তাদেরকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকি অজিত মণ্ডল হিজলা বাজার থেকে বাড়ির দিকে যেতে থাকলে ওই লোকগুলো তাকে ধাওয়া করে চরবড়বাড়ীয়া পর্যন্ত নিয়ে আসে। অজিত এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকে তাকে মারপিট করে। সে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।’
নৃপেন জানান, এই ঘটনার পর শনিবার ভোরে তারা মন্দিরে ভাঙা প্রতিমা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার মীর শরীফুল হক বলেন, ‘খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভোরে নিজেও গিয়েছিলাম। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ ব্যাপারে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।’