Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্ত্রীকে গণধর্ষণ, জামিনে বেরিয়ে স্বামীর হাত-পা ভাঙল আসামিরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:০৭ PM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:০৭ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


পটুয়াখালীতে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা করায় সিদ্দিক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে এজাহারভুক্ত আসামিরা। 

মঙ্গলবার রাত ১০টায় কলাপাড়ার ধূলাসার ইউনিয়নের চাপলী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১২টার দিকে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ৪ আসামি‌কে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে র‌্যাব-৮। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটার গান, ১২ রাউন্ড গুলি ও ৩৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথ‌মিক জিজ্ঞাসাবা‌দে গ্রেফতাররা র‌্যাবের কা‌ছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার ক‌রে‌ছে ব‌লে জানায় র‌্যাব। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধা‌রের ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি দোলোয়ান হো‌সেন বাদী হ‌য়ে পটুয়াখালী জেলার ম‌হিপুর থানায় পৃথক মামলা ক‌রে‌ছে।

স্বজনরা জানান, রাতে চাপলী বাজারে যায় সিদ্দিক। এ সময় গণধর্ষণ মামলার আসামি শাকিলের নেতৃত্বে শাহআলম, আল-আমিন, রবিউলসহ ৮/১০ জন মিলে তাকে পেটাতে থাকে। আসামিরা খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় আশপাশের লোকজন এর প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি।

এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় সেখান থেকে তুলে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা নির্মম নির্যাতন চালায়। এতে তার হাত-পা ভেঙে যায়। পরে তাকে নিজ বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহ্ফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে গণধর্ষণ মামলার বাদী সিদ্দিকের ওপর হামলা করে এজহারভুক্ত আসামিরা।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল রাতে ধূলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামে মহিপুর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল মৃধার নেতৃত্বে শাহ আলম, শাহিন, রবিউল, আল-আমিন, আ. রশিদসহ অজ্ঞাত ৭/৮ যুবক স্বামী সিদ্দিক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা না নিলে সিদ্দিক হাওলাদার বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গণধর্ষণের মামলা করেন। এরপর আদালত মহিপুর থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

Bootstrap Image Preview