Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চাকরির প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা কলেজছাত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯, ০৫:৫৩ PM
আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৯, ০৫:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


চাকরির প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী (২১)। এ ঘটনায় তিনি মান্দা থানার মাধ্যমে ঢাকার সাভার থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

ধর্ষক সাফিউল আল মাসুম (২৯) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার ঘিওন গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী চাকরির জন্য অনলাইনে হ্যালো ডক্টরস বিডিতে জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) পাঠান। এরপর তাতে উল্লেখিত মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে সাফিউল আল মাসুম বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ময়মনসিংহের ভালুকায় দেখা করতে বলে। সেখানে সাফিউলের সঙ্গে দেখা করে ওই ছাত্রী চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেন।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নভেম্বরে চাকরির নিয়োগপত্র দেয়ার কথা বলে তাকে ঢাকার শ্যামলীতে দেখা করতে বলে সাফিউল। শ্যামলীতে আসার পর অজ্ঞাতনামা হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সাফিউল। এরপর থেকে সে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে ডেকে নিত এবং স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকত।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে ঢাকার আমিন বাজারে মিম হাউজ নামে ভাড়া বাসায় বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে সাফিউল। সেখানে তারা ২৯ মার্চ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ছিল। এ সময় বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা টালবাহানা শুরু করেন সাফিউল। এ অবস্থায় ওই ছাত্রী সেখান থেকে রাজশাহী চলে আসেন। পরবর্তীতে সাফিউল রাজশাহীতে এসে আবারও তাকে বিয়ে কথা বলে চট্টগ্রামে বেড়াতে নিয়ে যায় এবং গত ৭ এপ্রিল অংলকার হোটেলে থাকার সময় আবারও ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি সাফিউলকে জানালে সে গর্ভের সন্তান নষ্ট না করলে বিয়ে করবে না বলে। ফলে বাধ্য হয়েই ওই ছাত্রী গত ১০ জুন গর্ভপাত করে।

কিন্তু তারপরও সাফিউল বিয়ের আশ্বাসে সময়ক্ষেপণ করায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী নিরুপায় হয়ে মান্দা থানার মাধ্যমে বুধবার (২১ আগষ্ট) সাভার থানায় একটি অভিযোগ করেন।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ঘটনাটি ঢাকার সাভার থানায়। ওই ছাত্রী ও তার পরিবার আমার কাছে এসেছিল। তখন সাভারে মামলা করার জন্য তাদের আইনগত পরামর্শ দেয়া হয়।

Bootstrap Image Preview