Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের দলীয় সমালোচনাকারীরা নজরদারিতে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ১১:৩০ PM
আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ১১:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থকদের দলের বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড, প্রতীকী উদ্যোগের অহেতুক সমালোচনা নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দলের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেয়া কিছু প্রতীকী কর্মসূচির অহেতুক সমালোচনায় দলের কিছু সমর্থককেও যুক্ত হতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া তাদের পোস্ট ও মন্তব্য লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।

দলের আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবিষয়ে কাজ করছে। সরকারি উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছেন বলে জানা গেছে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে সব ধরনের পস্তুতি ধরনের প্রস্তুতি।

এরপরও সমন্বিত কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ‘একটি চক্র’ উঠে পড়ে লেগেছে। জনগণকে সচেতন করতে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের প্রতীকী কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা, এমনকি সামাজিকমাধ্যমেও অপপ্রচার চলছে ।

এ অবস্থায় ‘মিডিয়াবাজি’ না করে সবাইকে অ্যাকশন প্রোগ্রামে নামার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ডেঙ্গুকে মানবিক সংকট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহ তাণ্ডব আজ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, এটা বাস্তব সত্য। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ডেঙ্গুর পরিস্থিতি নিয়ে সরকার সিরিয়াস। 

‘সচেতনতা সৃষ্টি এবং এডিস মশা নিধনে যা করণীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তা-ই করা হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা না যাচ্ছে, ততদিন আওয়ামী লীগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবে। 

ইতোমধ্যে দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিভিন্নভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সভা-সমাবেশ করছেন। গত শুক্রবার (০২ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র তারকাদের নিয়ে এডিস মশা নিধনের প্রতীকী কর্মসূচিতে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

সচেতনতামূলক এ অভিযান নিয়েও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অপপ্রচার’ চলছে। এ ধরনের সমালোচনাকে ‘চিন্তার দৈন্যতা’ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন মনোবিদেরা। 

তাদের মতে, মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতীকী কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার রেওয়াজ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সমাজের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় সামাজিক আন্দোলন। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে তথ্যমন্ত্রী ও চলচ্চিত্র তারকাদের প্রতীকী কর্মসূচিও এরই অংশ।

তারা বলেন, ভালো হোক কিংবা মন্দ, যেহেতু যেকোনো কাজে সমালোচনা করা মানুষের অভ্যাস; সেহেতু এ ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে কাজ করে যাওয়াটাই মঙ্গলজনক। এতে যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সমালোচনা করছেন, তারাও একসময় নিজেদের ভুল বুঝতে সক্ষম হবেন।

সামাজিক সচেতনতায় প্রতীকী কর্মসূচি নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিক বছরে ভারতের আহমেদাবাদের একটি শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে গিনেস রেকর্ড গড়েছিলেন সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। 

এর আগে প্রাদেশিক সরকারের উদ্যোগে পালন করা হয় প্রতীকী কর্মসূচি। এছাড়া রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারামুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রতীকী অনশন, পলিথিন বর্জন ও সামাজিক আন্দোলন গড়তে এবং দাবি আদায়ে প্রতীকী ধর্মঘট পালনের রেওয়াজ সর্বত্র চালু আছে।

Bootstrap Image Preview