Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাজতে গণধর্ষণ: খুলনার সেই ওসি-এসআই প্রত্যাহার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০৫:২৪ PM
আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০৫:২৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


থানা হাজতে এক নারীকে গণধর্ষণ ও পরে ফেনসিডিল মামলায় আদালতে চালানের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা জিআরপি (রেলওয়ে) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠান ও উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।

গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‌‘আমরা এখনো আদালতের কোনো কিছু পাইনি। এমনকি ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হয়নি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত শুরু করে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ ম কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ করেছেন এক নারী।

তার অভিযোগ, সেদিন যশোর থেকে ট্রেনে আসার সময় ফুলতলা এলাকায় জিআরপি পুলিশ প্রথমে তাকে মোবাইল চুরির অপরাধে থানায় ধরে নিয়ে যায়।

পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গণি পাঠান তাকে ধর্ষণ করেন। এর পর আরও ৪ জন পুলিশ সদস্য পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরদিন ৩ আগস্ট ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মামলা দিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করেন।

তবে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর সেই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এর পর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার মেডিকেল পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

Bootstrap Image Preview