Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, প্লাবিত ৫৭৮টি গ্রাম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৯, ১২:০৯ PM
আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯, ১২:০৯ PM

bdmorning Image Preview


কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি কমতে শুরু করলেও টানা ৯ দিন ধরে পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সীমিত আকারে ত্রাণ দেওয়া শুরু হলেও বেশিরভাগ বানভাসীদের কাছে পৌঁছায়নি খাবার। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি এখানো বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, বন্যায় পানিতে ডুবে আরো এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ৯ দিনে ১৪ জনের মৃত্যু ঘটল।

এখন পর্যন্ত বন্যায় ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৯ ঘরবাড়ি। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাঁচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। বন্যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর।

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদ্রাসা ৭০টি, মহাবিদ্যালয় ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি। অপরদিকে, ১ হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি। নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৪টি। এতে ১ লাখ ৩৫ হাজার শিশুর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ হাজার ৪২৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, বন্যার্ত সকল পরিবারে সহায়তা দেওয়া হবে। কেউ যাতে বাদ না যায় সেজন্য সকল বন্যার্তদের খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হবে।

Bootstrap Image Preview