সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা-কাকিলামারি সড়কের উপর অবৈধ ভাবে অহরহ চলছে এলাকাবাসির বেপরোয়া ধান ও খর শুকানোর কাজ।
গত একদশক ধরে পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এলাকাবাসি এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যানবাহণ চলাচলে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে এ সড়কটিতে প্রতিদিন দূর্ঘটনা লেগেই আছে।
রাউতারা গ্রামের রিক্সা চালক আকবর আলী, খোকন মন্ডল, আব্দুল গফুর, মাদলা গ্রামের আব্দুল মান্নান, আজাদ রহমান, পোতাজিয়া গ্রামের সোহেল রানা, আজগর আলী, আব্দুল কুদ্দুস জানান,প্রায় ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কের উপর সারা বছর এলাকাবাসি নিয়মিত ভাবে ধান,শরিষা,তিল,গম, ধানের খর,পাট ও পাটকাঠি শুকানোর কাজ করে। এ ছাড়া সড়কের দু‘ধারে বড় বড় করে খরের পালা দিয়ে বছরের পর বছর সড়ক দখল করে রেখেছে। এতে সড়কের প্রসস্থতা কমে সরু হয়ে গেছে। যার ফলে সড়ক দিয়ে দু‘টি গাড়ি পাড়াপাড়ে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অপরদিকে খরের পালার কারণে সড়কটির অধিকাংশ স্থানে ইদুর বড় বড় গর্ত করায় সড়কটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানির চাপে সড়কটির যে কোন স্থান ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ সড়কে এ সব শুকানোর ফলে ছোট-খাটো দূর্ঘটনা লেগেই আছে। বিশেষ করে ধান ও শরিষার উপর দিয়ে চলতে গিয়ে বহু সাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী দূঘটনার কবলে পরেছে। এছাড়া অটোভ্যান ও রিক্সা দূর্ঘটনা নিত্যদিনের স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ সব দূর্ঘটনায় অনেকেরই হাত-পা কেটে গেছে ও ভেঙ্গে গেছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পোতাজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ব্যাপারী বলেন, এলাকাবাসিকে একাধিকবার এ সড়কের উপর ধান-খর শুকাতে ও খরের পালা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। চকিদার-দফাদার দিয়ে ঢোল সহরতের ব্যবস্থা করেছি। এলাকায় মাইকিং করেছি। তারপরেও তারা নিষেধ উপেক্ষা করে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি অচিরেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অপরাধিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খান বলেন, বিষয়টি ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।