Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিজারের সময় কাঁচি নবজাতকের মাথায় ক্ষত, ডাক্তার বলছে ‘এটা সামান্য ব্যাপার'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৯ AM
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৯ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সিজার করার সময় নবজাতকের মাথায় কাঁচি লাগিয়ে ক্ষত করার অভিযোগ উঠেছে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডা. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। স্বজনদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও পাত্তা দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। ঘটনার দুইদিন পর শুক্রবার ওই নবজাতককে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বজনরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটা পান্তাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম হোসেনের স্ত্রী নাজমিন নাহার (২৩) ভর্তি করা হয় কিংস হাসপাতালে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কিংস হাসপাতালের ডা. আতিকুর রহমান বলেন, সিজারের সময় গর্ভস্থ শিশুর পানি ছিল না। নবজাতক একদম টাইট অবস্থা ছিল। সেই অবস্থায় অপারেশন করতে গিয়ে দুর্ঘটনাক্রমে নবজাতকের মাথায় একটু কেটে যেতে পারে। ক্ষত খুবই সামান্য। সেটি তিন মিলি মিটার বাই আধা মিলিমিটার গভীর (ডিপ) হবে। এতে মারাত্মক ক্ষতির কোনো আশংকা নেই।

রোগীর স্বজনরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তির পরপরই কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ডা: আতিকুর রহমান নাজমিনের সিজার অপারেশন করেন। অপারেশন করার সময় গর্ভে থাকা শিশুটির মাথায় অপারেশন কাজে ব্যবহৃত কাঁচির পোচ লাগে। মাথার চাঁদিতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়।

তাদের অভিযোগ, নবজাতকের মাথায় রক্ত দেখে ডা. আতিকুর রহমানকে জানালে তিনি ধমক দিয়ে বলেন, ‘এটা কিছু না, সামান্য ব্যাপার। নখের আঁচড়, এমন হয়ে থাকে। ওই অবস্থায় দুইদিন তার হাসপাতালে রেখে দেন শিশুটিকে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় শিশুটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এই অবস্থায় শুক্রবার নববজাতককে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নবজাতকের ফুফু তহমিনা বেগম জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিজারের পর নবজাতককে আমার কোলে দেয়। তখন দেখি মাথায় রক্ত লেগে আছে। এক জায়গায় কাটার দাগ। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জানাই। কিন্তু আমার কথায় কোনো পাত্তা দেয়নি। একটু ওষুধ দিয়ে চুল দিয়ে কাটা জায়গা ঢেকে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শিশুটি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। দুইদিনে কাটা জায়গার জন্য ভাল চিকিৎসা হয়নি। শুক্রবার সকালে এক প্রকার জোর করেই বাচ্চাটা সদর হাসপাতালে এনেছি। এখানেই চিকিৎসা চলছে।

Bootstrap Image Preview