ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ ছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে এ স্মারকলিপি দেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেছেন।
এ সময় ছাত্রীরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুই দফা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ধর্ষণ মামলায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করা এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া।
রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে বঙ্গভবনে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- ইশাত কাসফিয়া ইরা, মাকসুদা আক্তার তমা, জিয়াসমিন শান্তা ও সাবরিনা তাবাসসুম নিথিয়া।
ইশাত কাসফিয়া ইরা গণমাধ্যকে বলেন, ধর্ষণ বেড়ে গেছে, এটি বর্তমানে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্ষণের কারণে সরকারের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। এই নারীদের ঝুঁকির মধ্যে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে আমরা আরেকট ধর্ষণের কথা ভুলে যাই। কিন্তু যখন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে, ধর্ষকদের বিচার হবে; তখন তারা এ কাজ করতে সাহস পাবে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ফলে অ্যাসিড নিক্ষেপ কমে গেছে বলে উল্লেখ করেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী জিয়াসমিন শান্তা বলেন, গত ছয়মাসের ধর্ষণ পরিস্থিতি আমাদের আতঙ্কিত করেছে। আগে ছিল শুধু ধর্ষণ। কিন্তু এখন ধর্ষণের পর মেরে ফেলছে। শূন্য থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ধর্ষণ আমাদের মারাত্মভাবে চিন্তিত করেছে। আমরা মনে করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের কথা বলা উচিত। অন্যরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চেয়ে থাকে। আমরা ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
একই দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।