Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানা জামিনে মুক্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০১৯, ০১:১৮ PM
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯, ০১:১৯ PM

bdmorning Image Preview


টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ ও যুবলীগের দুই নেতার হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালের দিকে তিনি টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান। জেলার আবুল বাশার এ তথ্যটি জানিয়েছেন।

এর আগে হাইকোর্ট যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানাকে স্থায়ী জামিন দেন। ১৯ জুন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। মামলায় সাবেক এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। পরবর্তী সময়ে এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে সোমবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায়ও হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।

এরপর মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে সাবেক এমপি রানা টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা: ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তী সময়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলা তদন্ত করে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই বাড়ি থেকে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন এবং হিরণ মিয়া আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা বলেন, এমপি রানার নির্দেশে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। 

Bootstrap Image Preview