জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও নবগঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদ গুরুতর অসুস্থ। তার শরীর বেশ ভেঙে পড়েছে। প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার উঠতে-বসতে ও হাঁটাচলায় সমস্যা হলেও গত কয়েকদিন ধরে তার নড়াচড়া করার সামর্থ্যও কমে এসেছে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জিএম কাদের বলেন, অত্যাধুনিক ডায়ালাইসিস হেমো ডায়া ফিল্টারেশনে মাধ্যমে পল্লীবন্ধুর রক্ত থেকে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে এবং হেমো পারফিউশন এর মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সব কিছুই যন্ত্র এবং ঔষুধের মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছে। ব্লাড প্রেসার ও হার্টবিট স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছেন৷ তবে প্রতিদিনই ইনজেক্ট করতে হচ্ছে। ফুসফুস, কিডনীসহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ করলেই লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হবে।
জিএম কাদের বলেন, এরশাদকে ঘুমের ঔষুধ ও বেদনা নাশক ঔষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। অবস্থার উন্নতি হলেই তাকে সচেতন করা হবে। শরীরে রক্তের কিছু কিছু উপাদান দেয়া হচ্ছে। তিনি ভালো আছেন বলা যাবেনা, তিনি শংকামুক্ত নয়, তবে বেঁচে আছেন। তিনি ভাই এরশাদের সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে এরশাদের পুত্র এরিক এরশাদকে অপহরণের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বনানী থানায় জিডি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে জিডি (৫৫২ নম্বর) করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আক্তার।
তিনি বলেন, গত দুই-তিনদিন ধরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি কয়েক দফায় এরিক এরশাদের ফোনে কল দিয়ে তাকে অপহরণের হুমকি দেওয়ায় আমরা সাধারণ ডায়েরি করেছি।