মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া উপবন এক্সপ্রেসের ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে নারীসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ট্রেনটির প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী।
সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- বাগরেহাটের মোল্লাহাট উপজলোর বান্দর খোলা গ্রামের মো. আকরাম মোল্লার মেয়ে সানজিদা আক্তার, সিলেটের মোগলাবাজার থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় আবদুল বারীর মেয়ে ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা এবং মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পৌরসভার টিটিডিসি এরিয়ার বাসিন্দা আব্দুল বারীর স্ত্রী। তিনি রোববার রাতে সিলেটে মেয়ের বাসা থেকে উপবন ট্রেনে করে কুলাউড়ায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় উনার মেয়ে ও বোনের মেয়ে সঙ্গে ছিলেন। দুর্ঘটনায় ট্রেনের জানালার কাঁচ ভেঙে উনি মাথা, মুখ ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে তার সঙ্গে থাকা মেয়ে ও বোনের মেয়ে সামান্য আহত হন।
নিহত ফাহমিদা আক্তার ও সানজিদা আক্তার সিলেট নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ ফয়সল আহমদ চৌধুরী। ফাহমিদার ভাই আব্দুল হামিদ কুলাউড়া হাসপাতালে বোনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
হামিদ জানান, নার্সিং ট্রেনিংয়ের জন্য সিলেট থেকে উপবন ট্রেনে করে একটি দলের সঙ্গে ঢাকা যাচ্ছিলেন ফাহমিদা। আর নিহত কাওছার আহমেদের স্বজনরা তার মরদেহ কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে গ্রহণ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. নুরুল হক সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের চারজনেরই পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার মধ্যে দু’টি মরদেহ স্বজনদের কাছে আর বাকি দু'টি সিলেট নার্সিং কলেজকে হস্তান্তর করা হয়েছে।