Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রিকশাচালককে আপনি আর ড্রাইভারকে সাহেব না বললে আব্বা বকা দিত: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯, ০৬:২৮ PM
আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯, ০৬:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ছোটবেলা থেকে বাবা আমাদের শিখিয়েছেন রিকশাওয়ালাকে আপনি বলতে এবং আমরা আপনিই বলতাম। গাড়ির ড্রাইভারকে ‘ড্রাইভার সাহেব’ বলতে, নইলে আব্বার বকা খেতে হতো। কথাগুলি বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি অর্থ জনগণের অর্থ। এটা মাথায় রাখতে হবে। আজকে বেতন-ভাতা যা কিছু পাচ্ছি আমার দেশের কৃষক, শ্রমিক মেহনতি মানুষ, তাদেরই উপার্জিত অর্থ। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের উন্নতি করা এটাই আমাদের কর্তব্য।’

সম্প্রতিকালে বোরো মৌসুমে গ্রামে-গঞ্জে ধানকাটা শ্রমিকের সংকটের ব্যাপারটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তখন ছাত্রলীগকে হুকুম দিলাম। তোমরা যার যার এলাকায় নেমে যাও। সবাই মাঠে গিয়ে ধান কাটো। কিন্তু এটা শিখতে হবে একজন কৃষককে সঙ্গে নিতে হবে। যিনি ধান কাটতে পারেন, কারণ ধান কাটারও একটা নিয়ম আছে। তারা ঠিকই নেমে গেছে এবং ছবি তুলেছে। আমি বলেছি, সব জায়গায় দেখতে চাই। হ্যাঁ, তারা নেমেছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কোনো কাজ খাটো কাজ না, ছোট কাজ না। এই বোধটা যেন মানুষের মধ্যে আসে। সেকথাটাও মানুষকে বোঝাতে হবে, বলতে হবে। কারণ একবার ফুল প্যান্ট পরলে আর লুঙ্গি পরা যাবে না বা গামছা পরে মাঠে যাওয়া যাবে না। এই চিন্তা মাথায় যেন না থাকে। আমি তো বলেছিলাম, দরকার হলে আমি নিজে যাবো। সত্যি কথা বলতে কি? আমার চোখের অপারেশন না হলে আমি ঠিকই চলে যেতাম। কারণ আমি দেখাতে চাই, আমার কাছে সব কাজ সমান। খাদ্য যারা উৎপাদন করবে তারা আমার কাছে ছোট হবে কেন?’

অনুষ্ঠানে সরকারের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষায় সকলকে উৎসাহিত করছি। কিন্তু কোনো কাজ যে ছোট কাজ না, কোনো কাজ যে খাটো কাজ না এটা মাথায় রাখতে হবে। কারণ লেখাপড়া শিখলেই আবার আমি ধান কাটতে পারবো না, এটা ঠিক না।’

অনুষ্ঠানে ১১০, ১১১, ১১২তম ব্যাচের আইন ও প্রশাসন কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন। ১১০তম কোর্স থেকে মোহাম্মদ মাহবুল্লাহ মজুমদার, ১১১তম কোর্স থেকে রঞ্জন চন্দ্র দে ও ১১২তম কোর্স থেকে মাতলুব আহমেদ অনিক রেক্টর আওয়ার্ড মেডেল ও সনদ লাভ করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিটি কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে রেক্টর আওয়ার্ডপ্রাপ্তরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

Bootstrap Image Preview