নীলফামারীর ডোমারে এক মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও ২ সন্তান ফেলে রেখে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হওয়ায় একজনকে আটক করেছেন ডোমার থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মফিজপাড়া গ্রামে। মামলা সুত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত আলম আলীর ছেলে মফিজপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল জলিলের (২৫) স্ত্রী (মোর্শেদা বেগম) ও ২ সন্তান থাকা সত্ত্বেও ওই গ্রামের এক কৃষকের কন্যা মিরজাগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীর (১৪) উপর তার কু-দৃষ্টি পড়ে। ফলে তিনি ফুসলিয়ে মেয়েটিকে তার সাথে পালিয়ে যেতে রাজি করান।
পরবর্তীতে, গত ১৪ জুন রাতে মেয়েটি তার মায়ের গহনা ও তার নিজের কাপড় নিয়ে হাফেজের সাথে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখোঁজির পরও তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় ১৫ জুন ডোমার থানায় সাধারণ ডায়েরী (ডায়েরী নং-৩২৫) দায়ের করা হয়।
থানায় ডায়েরী করার পরও তাদের কোনো হদিশ না পাওয়ায় (মঙ্গলবার) ১৮ জুন মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে ডোমার থানায় (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে-২০০০সালের সংশোধনী) ০৩/ এর ০৭/৩০ ধারায় অপহরণ মামলা (মামলা নং-১৬) দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল লতিফ জানান, উক্ত মামলার ২ নং আসামী আলম আলীকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।