বগুড়া শেরপুরের ঘৌড়দৌড় এন.পি আলিম মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার জুনিয়র ইংরেজি শিক্ষিকা রোখসানা পারভিন কে নৈতিকতা অবক্ষয়ের দায়ে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি। প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকদের প্রতিবাদের মুখে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খাগা গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফের সাথে বিশালপুর ইউনিয়নের বিশালপুর গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে রোখসানা পারভিনের ২০০৪ সালে বিয়ে হয়। তিনি ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে ঘৌড়দৌড় এন.পি আলিম মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার জুনিয়র ইংরেজি শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করে। কিন্তু চলতি বছরের ২রা মে স্বামীর বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গিয়ে রাজু নামের এক ড্রাইভারকে বিয়ে করেন।
পরবর্তীতে, ঘটনা জানাজানি হলে তার স্বামীর বাড়ি ও কর্মস্থলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি শেষে ওই শিক্ষিকা পুনরায় মাদরাসায় গেলে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভবকেরা নৈতিকতা অবক্ষয়ের অভিযোগ এনে তাকে ক্লাশ নেয়া থেকে বিরত রাখেন এবং মাদরাসা থেকে বের করে দেয়ার দাবি জানান। ফলে এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা হলেন মানুষ গড়ার কারিগড়। তাদের কাছে আমাদের ছেলে মেয়েরা অনেক কিছু শিখবে। কিন্তু শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয় তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েরা তার কাছে কি শিখবে। এই শিক্ষিকা মাদরাসায় থাকলে আমাদের ছেলে মেয়েদের আর মাদরাসায় পাঠাবোনা।
তবে ঘটনার বিষয়ে ঘৌড়দৌড় এন.পি আলিম মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার জুনিয়র ইংরেজি শিক্ষিকা রোখসানা পারভিনের সাথে কথা বললে তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।
এ ঘটনায় ঘৌড়দৌড় এন.পি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুস সালাম বলেন, রোখসানা পারভিন মাদরাসায় থাকলে কোন ছাত্র-ছাত্রী মাদরাসায় থাকবেনা বলে হইচই করলে কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং এর মাধ্যমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।