দৌলতপুরে ২ দিনব্যাপী জাতীয় কবি'র ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লার দৌলতপুরে ১১ ও ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৫ ও ২৬ মে) দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (২৬ মে) কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন মুরাদনগরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন করা হয়।

অনুষ্ঠানে নূরনাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এ কেএম মজিবুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর।

কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম।  

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, দৌলতপুর আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের জীবনে ও সাহিত্যে এক নান্দনিক মাত্রা দিয়েছেন। এখানে এসেই ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি আর এক হাতে রণতুর্য’র ঝংকার বেজেছিল নার্গিসের সুপ্ত ভালোবাসার সংস্পর্শে।  

কবি নার্গিসকে উদেশ্য করে লিখেছিলেন, তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না। আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না। শুধু তাই নয়, এই দৌলতপুরে আড়াই মাস যাপন করে কবি ১৬০টি গান এবং ১২০টি কবিতা রচনা করেন।   

অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিদ্রোহ, প্রেম, মানবতা ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঘিরে কবির স্মৃতি বিজরিত দৌলতপুরে আজো গড়ে উঠেনি কোন ইনস্টিটিউট, শিল্প ও সাহিত্যচর্চা বা কোন নজরুল গবেষনা কেন্দ্র। শুধু জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন হয়। ফলে নজরুল ভক্তদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।   

আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন, মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম।