ফোন পেয়ে কাস্তে হাতে এক দরিদ্র কৃষকের ধান কাটতে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
বুধবার ঢাকার সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কাটেন তিনি। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ধান কাটা শেষে রাব্বানী স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে পাশের একটি টায়ার ফ্যাক্টরিতে যান। এ সময় ফ্যাক্টরিটি পরিবেশ দূষণ করছে উল্লেখ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবেশের ক্ষতিকর ফ্যাক্টরিটি বন্ধ করতে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
জানা গেছে, গতকাল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। এরপর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া নম্বরে আজ ফোন করে নিজের ধান কেটে দেয়ার জন্য সাহায্য চান স্থানীয় এক কৃষক। খবরটি শুনে নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই ব্যক্তির ধান কেটে দেন রাব্বানী। এ সময় তিনি ছাত্রলীগ কর্মীদের সারা দেশের অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এস এম মাকসুদুর রহমান মিঠু বলেন, ইতোমধ্যে আমরা তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীর সাড়া পাচ্ছি। তারা কিছু কিছু এলাকায় কাজও শুরু করে দিয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের ধান কাটার মাধ্যমে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।
এবার বোরো ধান আবাদ করে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে সারাদেশে কৃষকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। ধানের দাম নিয়ে অসন্তোষ থেকে পাকা ক্ষেতে কৃষকের আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে কোথাও কোথাও।
এ পরিস্থিতিতে কৃষকদের রক্ষায় অর্থমন্ত্রী চালমদানি সীমিত করার কথা কথা বলেছেন। আর খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান কেনাসহ চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ রাখতে সুপারিশ করেছে।