Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ মে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯, ১২:১৬ PM
আপডেট: ২১ মে ২০১৯, ১২:১৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে চার পুলিশ সদস্য সাক্ষ্য দেন। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ওই দিন ধার্য করেন।

জঙ্গি হামলায় আহত সিআইডির পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ভাটারা থানার এসআই ফারুক হোসেন, নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টারের মো. সোহাগ খন্দকার এবং মিরপুর ১৪নং পুলিশ ক্যাম্পের প্রদীপ চন্দ্র দাস আদালতে সাক্ষ্য দেন।

ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান জবানবন্দিতে বলেন, হামলার খবর পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত হন। এরপর আমরা হলি আর্টিজানের গেট অতিক্রম করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভেতরে একের পর এক গুলির শব্দ শুনি। আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়ি। হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। ওই সময় আমি আহত হই। আমরা দৌড়ে পিছু হটি। ঘটনাস্থলে বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও এসি রবিউল ইসলাম পড়ে যান। ওই সময় ওসি সালাউদ্দিন চিৎকার করছিলেন। তার ঘাড়ে ও গলায় স্পি­ন্টার বিদ্ধ হয়। সালাউদ্দিন ও রবিউল ইসলামকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই ফারুক হোসেন তার জবানবন্দিতে বলেন, ১০০ গজ দূর থেকে সার্চলাইটের আলো হলি আর্টিজানের দিকে দিলে দেখা যায় সন্ত্রাসীরা ভেতরে উল্লাস করছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে গেট খুলে প্রবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে। পুলিশের গুলি জঙ্গি নিবরাসের বাম হাতে লাগলে সে আহত হয়। আর জঙ্গিদের গ্রেনেডের আঘাতে ৩০ থেকে ৩৫ জন আহত হন। আমার পায়ে, হাতে, মুখে, মাথায় ২৬টি স্পি­ন্টারের আঘাত লাগে। আমার বাম পাশে থাকা বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন এবং ডান পাশে থাকা এসি রবিউল ইসলাম গ্রেনেডের আঘাতে মারাত্মক আহত হন। আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রথমে আমাকে ইউনাইটেড হাসাপাতাল ও পরে সিএমএইচ এবং তারপর থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করানো হয়। চার মাস চিকিৎসা শেষে আমি দেশে ফিরি।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। এরও আগে ২৬ নভেম্বর মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ৮ আগস্ট মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ওই দিন পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে তারা গ্রেফতার হয়। আর মামলায় দুই বছর ধরে কারাবন্দি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমকে অব্যাহতি দেয়া হয়। গত ২৩ জুলাই জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর চার্জশিট দাখিল করেন। ঘটনায় জড়িত ‘চিহ্নিত’ বাকি ১৩ জন এরই মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।

Bootstrap Image Preview