জামালপুরে শ্লীলতাহানি অভিযোগে কারাগারে ১

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও জড়িয়ে ধরে রিকশায় তোলার অভিযোগে মো. কনক (২২) নামে এক যুবককে বুধবার দুপুরে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম ফরিদা ইয়াসমিন ভ্রাম্যমাণ এ রায় দেন।

জানা গেছে, কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী দুপুর ১টার দিকে তার বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা শেষে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের বারান্দা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কনক নামের এক যুবক কলেজের প্রধান ফটক থেকে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে জোর করে রিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

যেতে না চাইলে ওই ছাত্রীকে মারধর করতে থাকে কনক। এক পর্যায়ে ছাত্রীটির চিৎকারে শিক্ষার্থীরা সেখানে ছুটে গিয়ে নির্যাতনকারী কনককে আটক এবং ওই ছাত্রীকে তার কবল থেকে রক্ষা করে। আটক কনক জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের জয়রামপুর এলাকার মো. দুলালের ছেলে।

পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জামালপুর সদরের ইউএনও এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানান। সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে আটক করে।

এ খবর পেয়ে সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন বেলা দেড়টার দিকে কলেজে গিয়ে ঘটনা শুনেন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার দায়ে নির্যাতনকারী কনককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে সদর থানা পুলিশ তাকে জেলা কারাগারে পাঠায়।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে একজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার দায়ে ২০০৯ সালের ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ৫০৯ ধারায় কনক নামের বহিরাগত এক বখাটে যুবককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’