চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ একই বাড়ির চার যুবকের বিরুদ্ধে। ওই চার ধর্ষকের একজনের সঙ্গে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করে গ্রামের মাতব্বরা। এ জন্য অভিযুক্ত ধর্ষকদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। আজ শনিবার বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও, তা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে গন্ধর্বপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার একটি ছেলের সঙ্গে তার বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়। তাই আর বিয়ে হচ্ছে না।’
তবে কোন ধর্ষকের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল এবং কারা বিয়ে ঠিক করেছিল সে বিষয়ে কিছু বলেননি ওহিদুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র এক ভিখারির ১৭ বছর বয়সী কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। মকিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একই বাড়ির চার যুবকের নাম।
সাথে সাথে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের মাতব্বররা। তারা অভিযুক্ত চার যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা রাখেন। সেই টাকা দিয়ে শনিবার (১১ মে) কিশোরীর পছন্দমতো পাত্রের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করে মাতব্বরা।
অভিযুক্ত ওই চার যুবক হচ্ছেন, একই বাড়ির ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২), রফিকের ছেলে ইসমাইল (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন আমিনুল (২০)।
গন্ধর্বপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে।’ তবে কার নামে জমা আছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এদিকে মামলা না করে শালিস করার কথা স্বীকার করে এলাকার মাতব্বর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা এলাকায় শালিস করেছি। চার যুবককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার দক্ষিণ গন্ধর্বপুর ইউনিয়নের এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে বলেও জানান ওহিদুল ইসলাম।