প্রথমে স্ত্রী লাকী বেগমকে (২৮) গলাকেটে হত্যার করে নুরুল আমিন হাওলাদার (৩৫)। হত্যার পর ভোর সাড়ে ৪টার নিজের সম্বন্ধি নুরুল ইসলাম হাওলাদারকে ফোন করে হত্যার কথাও জানিয়ে দেয় সে!
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারসংলগ্ন সাতঘর এলাকায়।
জানা যায়, স্ত্রীকে হত্যার পর সম্বন্ধিকে ফোন করে বলেন, ‘তোর বোনকে জবাই করে মেরেছি। বাড়িতে গিয়ে দ্যাখ। আমি আমার ছেলে-মেয়ে নিয়ে চলে গেলাম।’
লাকীর ভাই পুলিশকে এ ঘটনা জানালে সকাল ৬টার দিকে নিজ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা গলাকাটা দেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের কারণেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আবদুল হক হাওলাদারের ছেলে নুরুল আমিনের সাথে ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া কালিবাড়ি গ্রামের খলিল হাওলাদারের মেয়ে লাকীর বিয়ে হয়।
বিয়ের পর লাকীর বাবা ভারতে তার ভাঙ্গারির ব্যবসায় সহযোগিতার জন্য নুরুল আমিনকে নিয়ে যান। এর মধ্যে কয়েকবার দেশে যাতায়াত হয় নুরুলের। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে তার তেমন বনিবনা হতো না। গত বুধবারও ভারতে অবস্থান করছিলেন নুরুল। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে ফেলার জন্য জামাইকে দেশে ফেরত পাঠান শ্বশুর। রাতে ঘরে ফিরে এক সঙ্গেই রাত্রীযাপণ করেন লাকী ও নুরুল। কিন্তু ভোরের দিকে লাকীকে গলাকেটে হত্যা করে ছেলে জিহাদ (৭) ও মেয়ে জেরিনকে (২)নিয়ে পালিয়ে যান নুরুল আমিন।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজুর রহমান শেখ জানান, ঘাতক নিজেই হত্যার খবর তার স্ত্রীর ভাইকে মোবাইল ফোনে জানান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নুরুল ইসলাম হাওলাদার বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।