কেউ কেউ তবে তা মানতে রাজি নন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অন্যান্য বছরের তুলনায় পাশের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের হার। আর এর জন্য অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নকে দায়ী করছেন কেউ কেউ তবে তা মানতে রাজি নন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
তার মতে গ্রাম অঞ্চলে অঙ্ক এবং ইংরেজির ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে। আর যেসব মাদ্রাসার একজনও পাস করতে পারেনি সেগুলো বেশির ভাগই ননএমপিএ ভুক্ত।
এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় এবার পাশের হার ৮২. ২০ শতাংশ। গতবার ছিলো ৭৭.৭৭ শতাংশ। পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫ প্রাপ্র শীক্ষার্থীদের সংখ্যা। অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হওয়ায় সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলে দাবি কয়েকটি শিক্ষাবোর্ডের।
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, মানবিকের শিক্ষার্থীরা অঙ্ক এবং ইংরেজিতে একটু বেশি খারাপ করছে। সেকারণেই মোট পাশের হারে প্রভাব পড়ছে। প্রশ্ন কঠিন বা সহজ এটি অপেক্ষিক বিষয়। একটি প্রশ্নে মেধাবী, মধ্যমান ও নি¤œমান সব ধরণের শিক্ষার্থীদের যাচাই করার সুযোগ থাকে। পাশ করারও সুযোগ থাকে।
এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৫৮৩টি। গতবার ছিলো ১৫৭৪টি। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৭টি। যার মধ্যে রাজশাহী, যশোর, দিনাজপুরে একটি করে বরিশালে ২টি, কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের ৪৩টি এবং মাদ্রাসা বোর্ডের ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি। গেলবার মাদ্রাসা বোর্ডের এর সংখ্যা ছিলো ৯৬টি।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম ছায়েফ উল্যাহ বলেন, ৫৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরীক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ২৩৬ জন। আমরা এবার যদি আরো কঠোরতা অবলম্বন করি, দিক নির্দেশনা দেই, জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসি আমি মনে করি এটি আর থাকবে।