১১ দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত এক শ্রমিক।
গত সোমবার বিকেলে তিনি অনশনে বসেন।
রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ব্যবস্থা, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ ১১ দফা দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
অনশন কর্মসূচিতে বসা আহত শ্রমিক মাহমুদুল হাসান হৃদয় (৩২) রানা প্লাজার অষ্টম তলায় নিউ স্টাইল লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি একটি ফার্মেসি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
১১ দফা দাবি হলো- ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের প্রত্যেককে ৪৮ লাখ করে টাকা প্রদান করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, আজীবন চিকিৎসা প্রদানের ব্যয়ভার গ্রহণ করা, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার দিনটিকে শোক দিবস ঘোষণা করা, হতাহত ও নিখোঁজ পরিবারের শিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিতকরণ, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা, আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ, আহত উদ্ধারকর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, হতাহত পরিবারের চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
এ প্রসঙ্গে অনশনরত মাহমুদুল হাসান হৃদয় জানান, রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক শ্রমিক ও তার স্বজনরা সঠিক ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। যাদের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই ভবন মালিকসহ অন্যদেরও বিচারকার্য এখনও হয়নি।
তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ ন্যায়বিচার পাননি। তাই নিজ উদ্যোগেই ধসে পরা স্মৃতিবিজড়িত ভবনের সামনে অনশনে বসেছি।