Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্ষককে বাচাঁতে থানায় অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর সঙ্গে অন্য যুবকের বিয়ে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪২ PM
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে জোর করে অন্য যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাফেজ ইলিয়াস নামের এক যুবককে থানায় ডেকে এনে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। ওই কিশোরী গত ১৯ এপ্রিল একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়।

প্রকৃত ধর্ষককে আড়াল করে এক নির্দোষ ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেয়ায় কিশোরী ক্ষুব্ধ হয়ে দুজনকে আসামি করে ১৭ এপ্রিল আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২১ এপ্রিল আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। 

এই মামলার আসামিরা হলেন- আলাল মিয়া ও ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কিসমত নড়াইল গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর সঙ্গে ধারা বাজারের তাহা কসমেটিকস দোকানের মালিক আলাল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আলাল ওই কিশোরী ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আলালকে বিয়ের চাপ দেয়।

আলাল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই কিশোরী তার গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃ-পরিচয়ের দাবিতে থানায় আলালের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম ও হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারের যোগসাজসে উপজেলার বাউশা গ্রামের হাফেজ ইলিয়াসকে থানায় ধরে এনে তার সঙ্গে কিশোরীর বিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে ইলিয়াস বলেন, ‘পুলিশ আমাকে আটক করে থানায় এনে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা কাবিন মূলে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে আমার সাথে বিয়ে দেয়।

মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম ও অভিযুক্ত ধর্ষক আলাল মিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানান।

এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, ‘থানায় বিয়ে হয়েছে সত্য, তবে ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম ও আমার যোগসাজসে এই বিয়ে হয়েছে এটা সত্য নয়।’

Bootstrap Image Preview