Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কিশোর বয়সেই মানসিক হাসপাতালে ছিলেন ‘সেফুদা’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৩ AM
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৩ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্যকারী সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে দাবি করেছে তার পরিবার। কিশোর বয়সেই তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলেও জানায় পরিবার। এছাড়াও ২৫ বছর আগে সেফাত উল্লাহর বাবা তাকে ত্যাজ্য করেছিলেন বলেও জানান স্বজনরা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চেড়িয়ারা গ্রামে সেফাত উল্লাহ সেফুর বড় ভাই শামছুল আলম মজুমদারের সঙ্গে কথা হয় স্থানীয় সাংবাদিক মনিরুজ্জামান বাবলুর।

শামছুল আলম মজুমদার বলেন, ‘কিশোর বয়সে সেফাতকে আমার বাবা পাবনার পাগলা গারদে দিয়ে আসেন। সেখানে কয়েক মাস তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সে মাঝেমধ্যে বাড়িতে ফোন করে। ফোন করেই আমাদেরকে গালিগালাজ করে।’

সেফাত উল্লাহর বাবা মৃত হাজি আলী আকবর তিনজনকে বিয়ে করেন। ফলে সবঘর মিলে সেফাত উল্লাহর ভাই-বোন ১৫ জনেরও বেশি। সেফাতের আপন ভাই-বোন আটজন। তবে কারো সঙ্গেই সুসসম্পর্ক নেই তার।

সেফাত উল্লাহর চাচাতো ভাই রেদোয়ান হোসেন সেন্টুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সেফাত পরিবারের অবাধ্য হয়ে চলতো। পরিবারের কাছে জেনেছি, তাকে একবার পাগলা গারদ ও জেলখানায় রাখা হয়েছিল। তার বাবা হাজি আলী আকবর তাকে কোনো সম্পত্তি দেননি। ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার সময় দেশে আসেনি সে। পরিবারের কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই।’

এদিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেফাত উল্লাহ সেফুদাকে দেশে অথবা বিদেশে আইনের হাতে তুলে দিতে পারলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেওয়া ঘোষণায় বৃহস্পতিবার সোহেল লিখেন, ‘এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননাকারী সেফাত উল্লাহ সেফুকে দেশ এবং বিদেশের মাটিতে যারা আইনের আওতায় সোপর্দ করতে পারবে, তাদের জন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে সেফাত উল্লাহ পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেন। এ সময় পবিত্র কোরআনের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে সেফাত উল্লাহ বলেন, ‘এটি কোরআন শরিফ ছিল না। এটি একটি বই। এক কবি উপহার আমাকে দিয়েছিল।’

পারিবারিক জীবনে সেফাত উল্লাহর এক সন্তান রয়েছে। তিনিও অস্ট্রিয়ায় থাকেন। তবে সেফাত উল্লাহর স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। প্রায় ২২ বছর আগে সেফাত উল্লাহ অস্ট্রিয়ায় পাড়ি জমান।

Bootstrap Image Preview