ভারতীয় নিম্নমানের পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালোকাঠি, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত জেলার ছোট বড় বাজারগুলো। অবৈধ পথে শুল্ক না দিয়ে আসছে শত শত কোটি টাকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বিশেষ করে মাহে রমজানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা বড় বাজারে চলছে কয়েকটি চেরাচালান চক্রের রমরমা চোরাই পণ্য মজুদ ও বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা বড়বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছ ভারত থেকে চোরা পথে আসা নিম্নমানের এলাচ, কিসমিশ, চা পাতা, গুড়ো দুধ, কারেন্টজাল, অবৈধ পলিথিন, পাটবিজ, কীটনাশক, হরলিক্স, বিভিন্ন বিরান্ডের চকলেট, সাবান, সিগারেট, কসমেটিকস ও ক্যমিকেলসহ সব ধরনের মসলা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বড় বাজারের এক মুদি ব্যবসায়ী জানিয়েছে, গভির রাতে ট্রাক বুঝায় করে সাতক্ষীরা বড় বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী জেলার বাজা গুলোতে পণ্য সরবরহ করছে প্রভাবশালী চোরাচালান চক্রের একটি মহল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানিয়েছে সাতক্ষীরা বড় বাজারে কয়েকটি চোরাচালান সেন্টিকেট পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনেকের সাথে টাকার বিনিময়ে সথ্যতা গড়ে তুলেছে। তাদের সহযোগিতায় চোরাকারবার পরিচালনা করে যাচ্ছে চোরাচালানিরা।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আরো বলেন, বড় বাজারের ভেতরে বসে আড়ৎদারদের মতো করে প্রকাশ্যে এসব মালামাল কেনাবেচা করছে চোরাচালানকারীরা, দেখার কেউ নেই।
বড় বজারের অনেক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, চোরাই পণ্য বিক্রিতে লাভ বেশি। শুল্ক ছাড়া এসব এসব পণ্যের মূল্য অনেক কম থাকে। আর তাই বেশি লাভজনক হওয়ায় বৈধ আমদানির চেয়ে অবৈধ আমদানির দিকেই ঝুঁকছেন তারা।
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসা এসব পণ্যের আগ্রাসনে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশিয় শিল্প ও বৈধ পথে আসা পণ্যের বাজার। সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।