Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বনাথে পুলিশ এসল্ট মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৩০ PM
আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৩০ PM

bdmorning Image Preview


সিলেটের বিশ্বনাথের আলোচিত পুলিশ এসল্ট মামলার পলাতক আসামি আশিক নুরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তবে এই মামলার প্রধান আসামি, পুলিশের সোর্স সুহেল মিয়াকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি তারা।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার পূর্বপাড়া (ভিন্নারটেক) গ্রামের মৃত আহমদ আলী ওরফে ছাবাল শাহ’র পুত্র।

জানা গেছে, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার পূর্বপাড়া (ভিন্নারটেক) গ্রামের মৃত আহমদ আলী ওরফে ছাবাল শাহ’র মাজারকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও জুয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে তার প্রথমপক্ষের পুত্র আশিক নুর ও নিকটাত্মীয় মাদক কারবারী একই গ্রামের মৃত করিম বক্সের পুত্র সুহেল মিয়া। এসব কার্যকলাপ বন্ধ করতে ছাবাল শাহ'র দ্বিতীয়পক্ষের একমাত্র মেয়ে কলেজছাত্রী তাসলিমা আক্তার প্রতিবাদী ও প্রশাসনের দারস্থ হওয়ায় গত বছরের ১৯ জুলাই তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তার স্বর্ণালঙ্কার, বই ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় সুহেল, আশিক নুর এবং তাদের সহযোগিরা।

এ ঘটনায় একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সুহেল-আশিকসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেয় তাসলিমা। রহস্যজনকভাবে দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ বৃহস্পতিবার এটি মামলা (নং-৯) হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

ওইদিনই মামলার প্রধান আসামি সুহেলকে গ্রেফতার করতে সাদাপোষাকে মাত্র ৩ জন কনস্টেবল নিয়ে স্থানীয় বৈরাগীবাজারের একটি হোটেলে অভিযান চালান থানার তৎকালীন এসআই সবুজ কুমার নাইডু। এ সময় সুহেল ও তার সহযোগিদের হামলার শিকার হন চার পুলিশ সদস্যই।

এ ঘটনায় এসআই সবুজ কুমার নাইডু বাদী হয়ে অই রাতেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এসল্ট মামলা (নং-১০) দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫/১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে জাকির ও কয়ছর নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ।

এসল্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ বলেন, আশিক নুরকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview