Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুলতান মনসুরের মতোই বহিষ্কার হচ্ছেন মোকাব্বির খান?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫৫ PM
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে আজ মঙ্গলবার শপথ নিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান। দুপুর ১২টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের কাছে শপথ বাক্যপাঠ করেন গণফোরামের এ নেতা।

মোকাব্বির খানের শপথের বিষয়ে নিশ্চিত করেন স্পিকারের একান্ত সচিব এমএ কামাল বিল্লাহ।

এ দিকে মোকাব্বির জানান, গণফোরামের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের অনুমতি নিয়েই তিনি শপথ নিয়েছেন। তার পার্টি থেকে বলা হয়েছে শপথ নিতে।

তবে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী সভাপতি বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে একাদশ নির্বাচন বর্জন ও এই সংসদে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় গণফোরাম।দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলে মোকাব্বিরকেও সুলতান মনসুরের পরিণতি বরণ করতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন গণফোরামের দুই শীর্ষ নেতা।

গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলছেন, মোকাব্বির দলীয় প্যাড চুরি করে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন।দলের শীর্ষ নেতা এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দেয়ায় ধারণা করা হচ্ছে মোকাব্বিরের শপথে তার ব্যক্তিগত সায় রয়েছে। এসব নিয়ে গণফোরামে চলছে তোলপাড়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোও এ নিয়ে গণফোরামকে চাপে রেখেছে।পরিস্থিতি সামলাতে মোকাব্বিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা ছাড়া গণফোরামের সামনে কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।না হয় গণফোরামের রাজনীতিই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

যেই দোষে সুলতান মনসুরকে বহিষ্কার করা হয়েছে, একই দোষ করে মোকাব্বির যদি পার পেয়ে যান তবে দলের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।সেই সুযোগ গণফোরাম দেবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।

বহিষ্কার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুব্রত চৌধুরী বলেন, তিনি (মোকাব্বির খান) দলের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করেছেন। আমরা এখন বসে সিদ্ধান্ত নেব। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কারণেই আমরা সুলতান মনসুরকে বহিষ্কার করেছি। একই ঘটনা তিনিও ঘটিয়েছেন। তার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা জানতে সামনের বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

কবে সেই সিদ্ধান্ত এমন প্রশ্নে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আরও বলেন, আগামী ২০ এপ্রিল আমাদের সাধারণ সভা ও ২৬ এপ্রিল কাউন্সিল রয়েছে। মোকাব্বির খান সাধারণ সভা ও কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি কারও তোয়াক্কা না করে শপথ নিতে যাচ্ছেন। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে পড়ে। তার এই কাজ দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের সামিল।

এদিকে গতকাল সোমবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে তার মতিঝিলের চেম্বারে যান মোকাব্বির খান। উদ্দেশ্য শপথের আগে ড. কামালের আশীর্বাদ কামনা। সেখান থেকে বেরিয়ে মোকাব্বির খান জানান, ড. কামাল হোসেন ও গণফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শপথগ্রহণ করতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর লতিফুল বারী হামিম বলেন, মোকাব্বির ব্লাকমেইল করে গণফোরামের প্যাড ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, মোকাব্বির খান দলকে ব্লাকমেইল করে গণফোরামের প্যাড ব্যবহার করেছেন। যদি উনি শপথ নেন, তা হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গণফোরামের প্যাড তিনি কোথায় পেলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে লতিফুল বারী হামিম বলেন, উনি কোথা থেকে প্যাড পেলেন এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। হয়তো অফিসের ড্রয়ার থেকে নিতে পারেন। যদি তিনি প্যাড ব্যবহার করেন, তা হলে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। 

প্রসঙ্গত, এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিয়েছিলেন গণফোরামের আরেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

 

Bootstrap Image Preview