Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাছ ব্যবসায়ীর ধর্ষণে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১২ PM
আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কুষ্টিয়ার মিরপুরে প্রতিবেশী মাছ ব্যবসায়ীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী(১২)। আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে ধরা পড়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত ওসমান ওরফে হামা (৫৫) দুই সন্তানের জনক ওসমান মাছ ব্যবসায়ী। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর সে গা ঢাকা দিয়েছে। ওসমান ওরফে হামার বাড়ি নওগাঁ জেলায় হলেও কুষ্টিয়ার মিরপুরে থাকে সে।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে কিছুদিন ধরে মেয়ের (১২) পেট বড় হতে দেখে মা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে বলেন। জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি তার মাকে জানায়, ওসমান ওরফে হামা নামে প্রতিবেশী নানা তার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। কুষ্টিয়ার মিরপুর সাদ আলী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরই জানা যায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।

স্কুলছাত্রীর মা বলেন, মেয়ের পেট বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে প্রথমে সন্দেহ করি সে কোনো রোগে ভুগছে কিনা! সেই চিন্তা থেকেই রোববার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসক জানালেন- মেয়ে আমার অন্তঃসত্ত্বা।

‘পরে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। আমরা অনেক গরিব মানুষ। ওর বাবার দিনমজুরির রোজগারে চলে আমাদের সংসার। এ অবস্থায় কী করবো কিছু-ই বুঝতে পারছি না। আমি মানুষরূপী ওই পিশাচের শাস্তি চাই।’

মিরপুর সাদ আলী ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রাইভেট হসপিটালের সনোলজিস্ট মজিবুর রহমান জানান, মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য এসেছিলেন। পরীক্ষা করে দেখি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।

পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গেই বাড়িতে থাকে মেয়েটি। ক’দিন আগে মেয়েটির মা বাড়ি ছিলেন না। একা থাকার সুযোগ নিয়ে পানি পানের কথা বলে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে একই এলাকার বাসিন্দা সম্পর্কে প্রতিবেশী নানা ওসমান ওরফে হামা (৫৫)।

এ সময় মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় সে। এমনকি এ কথা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে। আর এই ভয়েই কাউকে কিছু জানায়নি মেয়েটি।

এদিকে ওসমানের সন্ধানে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, পাশবিকতার শিকার মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ওসমান গা ঢাকা দিলেও তাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview