Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধানমন্ডিতে একটি ভবনে আগুনের খবর সত্যি হলেও অপরটি ভুয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:৫০ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:৫০ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর ধানমণ্ডিতে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা পাওয়া গেলেও অপর একটি ভবনের খবরটি ছিল ভুয়া। আজ শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টা ২৪ মিনিটে ধানমন্ডির ১১/এ নম্বর সড়কের ৭৭ নম্বর বাসায় আগুন লাগে।

এছাড়া ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের ২২ নম্বর বাসায়ও আগুনের খবর পাওয়া যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে গেলে দেখতে পান কোনো আগুন লাগেনি। পুরো খবরটি ছিল ভুয়া।

ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, একজন ডাক্তার মহিলা, পান্থপথে উনার অফিস থেকে আমাদের ফোন করে জানান, তার বাড়িতে আগুন লেগেছে। উনার গাড়ির ড্রাইভার ফোন করে নাকি উনাকে এটা জানিয়েছেন। আমরা তাৎক্ষণিক সেখানে যাই। কিন্তু ওই বাসার লোকজন আগুন লাগার বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমরা ওই ড্রাইভারকে বললাম, এমনিতেই মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। আপনি কেনো এভাবে ফোন দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন।

এদিকে ধানমন্ডিতেই আরেকটি বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যদিও সে আগুন অতটা গুরুতর ছিল না।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের টেলিফোন ওপারেটর ফায়ারম্যান মো. রোমান বিডিমর্নিংকে বলেন, ‘আগুনের সংবাদ পেয়ে ১১/এ নম্বর সড়কের ৭৭ নম্বর বাসায় আমাদের দুটি ইউনিট ছুটে যায়। কিন্তু আমাদের লোক পৌঁছানোর আগেই বাড়ির মানুষজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।'

সিগারেটের আগুন থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভবনটির দারোয়ান সোহরাব বিডিমর্নিংকে বলেন, ‘মালিক হাসান পারভেজ সিগারেট ঝুড়িতে ফেলার পর তা জ্বলে উঠে। এরপর উপরে থাকা ইলেকট্রিক সুইচে আগুন ধরে পুরো ঘরে ধোয়া ছড়িয়ে পড়ে’।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, রাত ৮টা ২৪ মিনিটে ধানমন্ডির ১১/এ নম্বর সড়কের ৭৭ নম্বর বাসায় আগুন লাগে। সিগারেট খাওয়ার পর তা ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হলে সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়। তবে তারা আসার আগেই বাড়ির বাসিন্দারাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এর আগে সকাল পৌনে ৬টার দিকে গুলশান-১ এর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

Bootstrap Image Preview