শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পঁচাত্তরের পরে যারা গণহত্যাকারীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে তারা সক্রিয় আছে, তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নিতে পারে না। এদেরকে প্রতিহত করতেই হবে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সরকার গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান সিক্ষামন্ত্রী।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি এটা দুর্ভাগ্য। কারণ তৎকালীন শাসকরা চায়নি। স্বস্তির বিষয় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এইদিনকে স্বীকারই করেনি কেবল, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পালন করা হচ্ছে।
হাসানুল ইক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিটি দিনই ছিলো গণহত্যার ঘটনায় কলঙ্কিত। এটি সম্মিলিতভাবে উপলব্ধি করতে হবে। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস দর্শন চেতনাকে ধুলিসাৎ করতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্য পুরনো কৌশল কার্যকর করলো। গণহত্যাকারীদের পিতা ছিলেন জিয়া। জিয়ার পরে খালেদা মাতার ভূমিকা রাখছেন।
রাজাকারদের দোসর বিএনপিকে দেশের জন্য হুমকি উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
গণহত্যার কালরাত্রি স্মরণে আলোচনা সভা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, আলোর মিছিলের আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, গণতন্ত্র পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভপতি মন্ডলীর সদস্য কাজল দেব নাথ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।