নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের বান্ধবী নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে মাদক ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জুয়েল হত্যা মামলায় আদালতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
রবিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে এই মামলাটিয় অধিকতর তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী অফিসার জেলা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ছরোয়ার জাহান সরকার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ মামলায় নীলা জামিনে রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
আদালতসূত্র জানায়, জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনজন কিলার লঞ্চো সোহেল, কালা সোহাগ ও মনা ডাকাত দোষ স্বীকার করে আদালতে পৃথক সময় জবানবন্দিতে বলেছিলেন, মাদক ব্যবসার দেনা পাওনা নিয়ে নীলার সঙ্গে জুয়েলের বিরোধ দেখা দেয়। এতে নীলার নির্দেশে খায়রুল ইসলাম জুয়েলকে গলা কেটে হত্যা করে দেহ এক স্থানে ও মাথা আরেক স্থানে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করলেও নীলাসহ ১৭ জনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. নূরুন নবী। অব্যাহতি চাওয়া ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৩ জনের নাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রয়েছে। এতে অধিকাংশ আসামীকে কেন অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে এর ব্যাখ্যা চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিস্তারিত উল্লেখ করেনি।
আদালত মনে করেছেন এ চার্জশিটটি স্পষ্ট নয় এবং দাখিলকৃত চার্জশিট সন্তোষজনক বলে প্রতীয়মান হয় না। আসামিদের জবানবন্দি ন্যায় বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হওয়ায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা সিআইডিকে নির্দেশ দেন। এরপর জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. নূরুন নবী অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আজিবপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর জানতে পারে লাশটি নোয়াখালী জেলার মাসুমপুর গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে খায়রুল ইসলাম জুয়েলের (৩০)।