Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইঁদুরের দেহে মানুষের কৃমি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৯ PM
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রথমবারের মতো ইঁদুরের দেহে মানুষের অন্তঃপরজীবী (কৃমি) ‘গনজাইলোনেমা’ শনাক্ত করতে সফল হয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের একদল গবেষক।

তারা জানান, গনজাইলোনেমা নামক এক ধরণের কৃমি যার মাধ্যমে মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত ইঁদুরের মলের মাধ্যমে কৃমিগুলোর ডিম ছড়ায়। এই ডিমগুলো যখন মাছিজাতীয় কীট (ফ্লি), গুবরে পোকা, আরশোলা ইত্যাদি খায় করে তখন মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. উদয় কুমার মহন্তের নেতৃত্বে একদল তরুণ গবেষক দীর্ঘ একবছর ধরে এই গবেষণা চালান। গবেষণা কাজের এই দলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রভাষক এস এম আব্দুল্লাহ এবং মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী অমৃত বর্মন ও ছিলেন।

গবেষকদল জানান, ঢাকা শহরের বিভিন্ন ঘনবসতি এলাকা (তেজগাঁও,  আগারগাঁও,  তালতলা, মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজার, শেরেবাংলা নগর এসব জায়গার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দীর্ঘ এক বছর গবেষণা চালিয়ে তারা ইঁদুরের শরীরের ভেতরে এ পরজীবীর সন্ধান পান তারা। মূলত ইঁদুরের মাধ্যমে  যেসব অন্তঃপরজীবী (কৃমি) মানুষের শরীরে রোগ ছড়ায়, সেগুলোকে অঙ্গসংস্থানিক বৈশিষ্ট্যের আলোকে শনাক্ত করা এবং তাদের বিস্তার নির্ণয় করাই এ গবেষণা অন্যতম লক্ষ্য।  

এই কাজের নমুনা হিসেবে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ঘনবসতি এলাকা থেকে ৭০টি ইঁদুর সংগ্রহ করেন। যার মধ্যে ২০টি ধাড়ি ইঁদুর, ১৫টি কালো ইঁদুর, ২৫টি বাদামি ইঁদুর এবং ১০টি নেংটি ইঁদুর ছিল। এমন ৭০টি ইঁদুরের মধ্যে ৫০টি (৭১.৪২%) ইঁদুর বিভিন্ন অন্তঃপরজীবী (কৃমি) দ্বারা আক্রান্ত। এসব ইঁদুর মানুষকে সংক্রমণ করতে সক্ষম বলে জানান গবেষকরা।

Bootstrap Image Preview