Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কেমন আছেন সেতুমন্ত্রী?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯, ০২:৫৯ PM
আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯, ০২:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি গতকাল ২০ মার্চ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন চিকিৎসকরা। সার্জারির পর নিবির চিকিৎসা কেন্দ্রে গভীর ঘুমে রয়েছেন তিনি। পোস্ট অপারেটিভে আরও একদিন তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হবে।

মাউন্ড এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পোস্ট অপারেটিভে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে কেউ দেখতে পারছেন না। এমনকি বাংলাদেশ থেকে ভিআইপি পদমর্যাদার কেউ  গিয়েও তাকে দেখতে পারছেন না।ওবায়দুল কাদেরের ঘুমে যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য এমনটি করা হয়েছে।

আরও অন্তত ২২ ঘণ্টা না পেরোনো পর্যন্ত তার পরিবারের কেউ তাকে দেখতে পারবেন না বলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ড জানায়, সফল অস্ত্রোপচারের পর ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পার হলেই তাকে জাগানো হবে। এরই মধ্যে প্রায় ২৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে রয়েছেন।

তবে ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের এবং শরীরের সব শেষ অবস্থা জানিয়ে সিঙ্গাপুর সময় আজ বিকাল পাঁচটায়, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় চিকিৎসকদের ব্রিফ করার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার সফল সার্জারির পর মাউন্ট এলিজাবেথের থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি ওবায়দুল কাদেরের অস্ত্রোপচার পরবর্তী অগ্রগতি পরিবারের সদস্যদের ব্রিফ করেছেন। তখনই তিনি জানান, সার্জারির পর তাকে ৪৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি শুরু হয়। মাউন্ট এলজাবেথ হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওথোরাসিক সার্জন সিবাস্তিন কুমার সামি সেতুমন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি করেন।

সেখানে মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন সহধর্মিণী বেগম ইসরাতুন্নেসা কাদের, ছোট ভাই আবদুল কাদের মীর্জা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন। ৩ মার্চ ভোররাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

সেখানে এনজিওগ্রামে তার হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি মেজর ব্লকসহ একাধিক ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।

অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে ৪ মার্চ বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেদিন রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

Bootstrap Image Preview