Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খাদ্যমন্ত্রীর জামাতা ডা. রাজনের যে ছবি কাঁদাচ্ছে সবাইকে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯, ১০:১৪ PM
আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯, ১০:১৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজন কর্মকারের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রাজন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় মেয়ে কৃষ্ণা রাণী মজুমদারের স্বামী।

সোমবার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত হয়। পরে লাশ স্বজন ও সহকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিন দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজনের লাশ নেয়া হয় তার কর্মস্থল বিএসএমএমইউতে। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কর্মকার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন রাজনের মামা সুজন কর্মকার। সোমবার রাতেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

ডাঃ রাজনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।ছেলের লাশ বুকে জড়িয়ে রেখে তার মা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।

এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ডা. রাজনের সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই এই ছবি শেয়ার করে লিখছেন’আর কোন সন্তানকে যেন এভাবে মায়ের বুকে ফিরতে না হয়।

ডা. রাজনের স্মৃতিচারন করে তার সহকর্মী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহকারী অধ্যাপক ডা. মীর নওয়াজেশ আলী বলেন‘বাংলাদেশ আজ বুঝল না, কেমন চিকিৎসককে হারাল। বুঝবে আরও কয়েক বছর পর। মাত্র ৩৯ বছরের একজন চিকিৎসক যে কতটা মেধাবী হতে পারে, কতটা পজিটিভ হতে পারে, সেটা রাজনকে না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না। আমরা বোঝাতে পারব না, রাজনকে হারিয়ে কেমন সম্পদকে হারালাম আমরা। বাংলাদেশ কেমন সম্পদকে হারাল।’

ডা. রাজনের পরিবার ও তার সহকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন,এর আগেও রাজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।তখন রাজনের অসম্মতি থাকায় বিষয়টি নিয়ে কোন পুলিশি অভিযোগ করা হয়নি।

এর আগে রাজনের ময়নাতদন্ত শেষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে ডা. রাজনের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মরদেহের হার্ট ও ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য যে, গত শনিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে ডা. রাজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা। তাদের দাবি, রাজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তবে রাজনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে লাশের ময়নাতদন্ত নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল।

পরিবার ও সহকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় রাজনের মামা সুজন কর্মকার একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।

Bootstrap Image Preview