Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিবগঞ্জে দপ্তরির যৌন লালসার শিকার এক ছাত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:৪১ PM
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:৪১ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি শাহজাহান আলী বাদশাহর বিরুদ্ধে একই স্কুলের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে ব্ল্যাকমেইল করে তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

সোমবার (১৮ মার্চ) এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। এ সময় ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ওই দপ্তরিকে সাময়িক বরখাস্ত করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত দপ্তরি পলাতক রয়েছে। 

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বড় বোন বলেন, বর্তমানে স্থানীয় একটি কলেজে অধ্যয়নরত তার ছোট বোন তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। ওই স্কুলের দপ্তরির বড় ছেলে তার বোনের বন্ধু হওয়ায় তারা একে অপরের বাড়িতে যাওয়া-আসা করত। তিন বছর আগে তার ছোট বোন ওই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। একদিন সে দপ্তরি বাদশাহর বাড়িতে গেলে বাদশাহ কৌশলে তার কিছু নগ্ন ছবি তোলে। এসব ছবি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভুক্তভোগী মেয়েটি স্কুলের লেখাপড়া শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাদশাহ আরও অপেক্ষা করতে বলে। 

সম্প্রতি এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নানকে মেয়েটির বাবা লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়েছে, তার মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে দীর্ঘদিন থেকে বাদশাহ ধর্ষণ করে আসছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার বিষয় প্রধান শিক্ষক সাত দিনেও কোনো ব্যবস্থা নেন নি।

রবিবার বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল সকালে ক্লাসে না গিয়ে দপ্তরির বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে স্থানীয়রাও যোগ দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় বিদ্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক জরুরি সভা করে অভিযুক্ত দপ্তরিকে সাময়িক বরখাস্ত করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি গত ১৬ মার্চ লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভার মাধ্যমে রবিবারই বাদশাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেন ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 

আন্দেলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দপ্তরি বাদশাহকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলেও তিনি এলাকার প্রভাবশালী ও বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়। তাই তার শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এ বিষয় শিবগঞ্জ থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা দায়েরের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত শাহজাহান আলী বাদশাহর বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার সৎ মা জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার ছেলে পরিবার নিয়ে কোথায় গেছে তাও তিনি জানেন না।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview