জাদুঘর থেকে সরানো হলো মাইকেল জ্যাকসনের স্মৃতিচিহ্ন

প্রয়াত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনকে ঘিরে নানা বিতর্ক বিদ্যমান আছে। ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাদুঘর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের স্মৃতিচিহ্ন।

জানা যায়, টিভি চ্যানেল এইচবিওর তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ এ মাইকেল জ্যাকসনকে তুলে ধরা হয়েছে একজন শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে। সেখানে বক্তব্য দিয়েছেন শৈশবে পপ তারকার কাছে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া দুই তরুণ। শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণেই দেশটির ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপোলিস চিলড্রেন মিউজিয়াম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের ব্যবহার করা একটি টুপি ও হাতমোজা। সরিয়ে ফেলা জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি পোস্টারও।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু জাদুঘরটি মাইকেল জ্যাকসনের স্মৃতিচিহ্ন রাখতে চায় না। এ প্রসঙ্গে জাদুঘরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যমবিষয়ক পরিচালক কিমবারলে হার্মস রবিনসন বলেন, ‘যেহেতু এটি শিশুদের জাদুঘর। আমাদের স্পর্শকাতর দর্শকদের সামনে বিতর্কিত কিছু আমরা রাখতে চাই না। আমরা কেবল মহান ব্যক্তিদের স্মৃতিচিহ্নই শিশুদের সামনে তুলে ধরতে চাই।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নিলাম থেকে মাইকেল জ্যাকসনের টুপি ও হাতমোজা জোড়া কিনেছিল ইন্ডিয়ানাপোলিস জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। জাদুঘরের ‘আমেরিকান পপ’ বিভাগে সেগুলো প্রদর্শিত হয়েছিল। তবে এইচবিওর তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ এর প্রভাবে মাইকেল জ্যাকসনকে প্রত্যাহারের এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। তথ্যচিত্রটি প্রচারের পর নিউজিল্যান্ড ও কানাডার একটি রেডিও স্টেশন মাইকেল জ্যাকসনের গান সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। এমনকি কার্টুন সিরিজ ‘দ্য সিম্পসন’ এ মাইকেল জ্যাকসনের পর্বটি বর্জন করার ঘোষণাও দেন সিরিজের প্রযোজক।